সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় কাজ মিলল ২৫০ প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের। তাদের সৌদিতে নিয়ে আসা দালালদের খুঁজে বের করার চেষ্ঠা করছে দূতাবাস। দূতাবাস জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, জেদ্দার অলিতে গলিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ২৫০ শ্রমিক। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কনসাল জেনারেল নাজমুল হক তাদের খুঁজে বের করেন। পরে দূতাবাসের সহায়তায় সৌদির বিভিন্ন জায়গায় পর্যায়ক্রমে কাজের ব্যবস্থা করা হয়।
এ ঘটনায় সৌদি প্রবাসীরা জানান, ভালোভাবে না জেনে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরবসহ কোনো দেশেই যাওয়া উচিৎ নয়। কাজের নিশ্চয়তা, যে দেশে যাবে সেই দেশের ভাষাসহ দক্ষতা থাকলেই প্রবাসে আসা উচিৎ। সৌদি আরবের পশ্চিমের বন্দর নগরী জেদ্দা, রাজধানী রিয়াদ, দাম্মাম শহরসহ প্রাদেশিক এলাকায় এভাবে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন বাংলাদেশিরা। দালালদের মাধ্যমে সৌদি আরবে এসে তারা বিপাকে পড়ছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা প্রত্যেকেই ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে আসেন। সেখানে কাজ না দিয়ে তাদের আটকে রাখা হয় জেদ্দার আজিজিয়া এলাকার একটি বন্ধ ঘরে। কাজ চাইলে মারধর করা হয়। কোম্পানিটির সবাই এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রতিনিধি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়। জেদ্দার কনসাল জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিক যেনো কাজ পায় আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’
সচেতনতা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসীরা। তারা বলেন, সৌদি আরবে বর্তমানে অদক্ষ শ্রমিকদের আগের মতো কাজের সুযোগ নেই। দক্ষ শ্রমিক হলেই কেবল কাজ মিলছে। অপরদিকে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ রয়েছেন যারা নতুন ভিসায় আসা লোকদের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
শুধু জেদ্দাই নয়, সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে এমন অনেক বাংলাদেশি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। রোজগারের চেষ্টা করলেও তেমন কোনো সুযোগ মিলছে না। কেউ আবার বিভিন্ন সড়কের সিগনালে দাঁড়িয়ে পানি বিক্রি করে কোন মতে জীবন যাপন করছেন।